লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, দু’দশক ধরে নানান সমস্যায় জর্জরিত। শিক্ষক, কর্মচারী সল্পতা, একাডেমি ভবনের অভাব, অনুন্নোত মাঠ, শিক্ষকদের অভ্যান্তরীণ দন্ধ,পরস্পর বিরোধী বক্তব্য, পড়ালেখার ঐতিহ্যগত মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা লাঠে উঠেছে। নিরোপায় ছাত্র অভিভাবকদের আহাজারি শোনার কেউ নেই।
৪.৯৪ একর জমি জুড়ে হুলাদাভ দু’তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন-৩টি, এর মধ্যে পাকা ভবন-২টি, টিনসেট ১টি। রয়েছে ১টি সুবিশাল খেলার মাঠ, ১টি পুকুর, ১টি পাকা মসজিদ, পাঠাগার, আইটি ল্যাব-১টি, বিজ্ঞানাগার-১টি, জিমনেসিয়াম, ছাত্রবাস-১টি, শিক্ষক ডরমেটরী-১টি, কর্মচারী ডরমেটরী-১, টয়লেট-১টি। ২৭ জনের স্থলে ৭ জন শিক্ষক, ২০টির স্থলে ৯টি শ্রেণি কক্ষ, ২টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুম থাকার কথা থাকলেও ১টিও নেই। ১টি ছাত্রী কমন রুম থাকার কথা, তা নেই, ছাত্রী ওয়াশব্লক-২টি, ৭টি ছাত্রী টয়লেটের স্থলে রয়েছে-১ টি(!)। ছাত্র ওয়াশব্লক ৩টির মধ্যে ১টিও নেই, ছাত্র টয়লেট-১২টির স্থলে ৪টি রয়েছে। ছাত্রবাস/কক্ষ ২৫টির স্থলে রয়েছে-৪টি। এ নিয়ে বিদ্যালয়টি খুঁড়িয়ে চলছে। লামা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে ১৯৬৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে, ১৯৮১ সালে জাতীয় করণের পর নাম করণ হয় “লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়”। বিদ্যালয়টিতে ২৭জন শিক্ষক ও ৭ জন তৃতীয়, চতুথ শ্রেণির কর্মচারী থাকার কথা। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, দীর্ঘদিন ধরে ৯ জন শিক্ষক দিয়ে প্রায় নয় শ্ ছাত্রছাত্রীকে পাঠদান ও ২ জন কর্মচারী দিয়ে বিদ্যালয়টি খুঁড়িয়ে চলছে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক ২ জনের একজনও নেই। বাংলা বিভাগে ৪ জন শিক্ষকের স্থলে ১ জনও নেই। ইংরেজি ৪ জনের স্থলে ১জন, গণিত ৩ জনের স্থলে ১জন, ভৌত বিজ্ঞান ২ জনের একজনও নেই, জীব বিজ্ঞান ২ জনের একজনও নেই, ব্যবসায় ২ জনের জায়গায় রয়েছে ১ জন, ১জন করে ভূগোল ও কৃষি শিক্ষক নেই ও টেড শিক্ষকের পদ সৃষ্ট না হওয়ায় তাও নেই। এছাড়া উচ্চমান সহকারী নেই, এমএলএসএস ৫ জনের স্থলে রয়েছে ১জন।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোক্তার হোছাইন কুতুবী জানান, জনবল সংকট নিরষণে কর্তৃপক্ষের কাছে বহু লেখা-লেখি করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয়রা কিছুদিন পরপর সরকারের সংশ্লিষ্ট উধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট অনেক আবেদন নিবেন করেও এর কোন সুরাহা পাচ্ছেন না।
পাঠকের মতামত